নদিয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত সুত্রাগড় ছুতোরপাড়া এলাকায় সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো রঘুনাথ মন্দিরে রামনবমীর আগে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার অনুদান দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। শান্তিপুর বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী তার উন্নয়ন প্রকল্প থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা এবং শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ তার উন্নয়ন প্রকল্প থেকে প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা মন্দির উন্নয়নের জন্য দান করেন।
বিধায়কের অর্থে মন্দিরে লোহার শেড নির্মাণ করা হয়েছে এবং চেয়ারম্যানের প্রকল্পের টাকায় মন্দিরের মেঝে পাকাপোক্ত করা হয়েছে। এই আর্থিক অনুদান এলাকাবাসীর মধ্যে খুশির সঞ্চার করেছে এবং পুরনো মন্দিরটি নতুন সাজে সজ্জিত হয়েছে।
চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ বলেন, "এখানে কোনো ধর্মীয় রাজনীতি নেই। শান্তিপুর সব ধর্মের মিলনক্ষেত্র। আমরা মন্দির-মসজিদ সব বিষয়েই উন্নয়নের দিকে নজর দিই।"
তবে বিজেপি জেলা মুখপাত্র সোমনাথ কর এই পদক্ষেপকে ভোট রাজনীতি বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, "এতদিন এই উন্নয়ন কোথায় ছিল? সামনে বিধানসভা ভোট আসছে, তাই তৃণমূল এই ধরনের ভোট রাজনীতি করছে। আমরা এই ধরনের রাজনীতিকে ঘৃণা করি। উনি উন্নয়ন প্রকল্পে মন্দিরের অনুদান দিয়েছেন এটা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু অনুরোধ করব, এইভাবে ভোট রাজনীতি করবেন না।"
ধর্মীয় স্থানে উন্নয়নের জন্য অর্থ প্রদানকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক টানাপোড়েন অব্যাহত রয়েছে। শান্তিপুরে তৃণমূল ও বিজেপির এই বিতর্কে ধর্মীয় রাজনীতি নিয়ে আলোচনা তীব্র হচ্ছে।